অমিত শাহ এর সফর ঘিরে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপি : মঞ্চে হাজির রাহুল সিনহা ও

5th November 2020 1:08 pm বাঁকুড়া
অমিত শাহ এর সফর ঘিরে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপি : মঞ্চে হাজির রাহুল সিনহা ও


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাঁকুড়ায় পৌঁছালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্। কলকাতা নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানন্দর থেকে চপারে চেপে তিনি শহর সংলগ্ন করগাহিড় হ্যালিপ্যাডে পৌঁছান। পূর্ব নির্দ্ধারিত কর্মসূচী হিসেবে বাঁকুড়ায় পৌঁছেই পুয়াবাগানে বীরসা-মুণ্ডার মূর্তিতে মালা দেন। বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মালা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৮০ টির একটিও বাঁকুড়ায় করতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণের যে অর্থ কেন্দ্র সরকার দিয়েছে তা আদিবাসীদের কাছে পৌঁছয় নি বলে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্ -র। তিনি বলেন কৃষকের জন্য প্রতি বছর ছ হাজার টাকা করে দেওয়ার যে প্রকল্প কেন্দ্র নিয়েছে তা প্রতিফলিত করতে দিচ্ছে না এই রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের গরীবদের জন্য স্বাস্থ্য খাতের টাকাও গরীবরা পাচ্ছে না। মমতার সরকার গরীবদের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না। মমতা দিদিকে বলতে চাইছি, দিদি, আপনার মনে ভয় আছে, এই সব প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে কি ভারতীয় জনতা পার্টিকে পশ্চিমবঙ্গে আটকে দেওয়া যাবে...? তিনি অনুরোধ করেছেন৷ কেন্দ্রের প্রকল্প গুলিকে রাজ্যে চালু হতে দিন, তাহলে আপনারই মঙ্গল। ভারতীয় জনতা পার্টির উপর যেভাবে অত্যাচার মমতার সরকার করছে তাতে তৃণমূল সরকারের মৃত্যু জাল ঘনিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন পশ্চিমবঙ্গের যুবকদের রোজগার দেয়ার জন্য বাঙালি গরিবদের গরিবি আনা থেকে মুক্ত করতে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার কে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বিজেপি সরকারকে একবার সুযোগ করে দিন আমরা আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের সোনার বাংলা করে দেবো । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।